শীতের সকাল
আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু বিরাজমান।তন্মধ্যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সমজ্জ্বল ঋতু শীতকাল।শীতের সকাল কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ঠান্ডা। এটা ধনীদের নিকট আনন্দদায়ক কিন্তু গরিবদের কাছে অভিশাপ। শীতকালে সর্বত্র ঘন কুয়াশা থাকে। মাঝে মাঝে কুয়াশা এতই ঘন থাকে যে, সূর্যরশ্মিও একে ভেদ করতে পারে না। সবকিছু ঝাপসা দেখায়। দূরের জিনস কদাচিৎ দেখা যায়।সূর্য বিলম্বে ওঠে বলে মনে হয়। শিশু এবংবৃদ্ধারা সকালের হাড়কাঁপানো শীতকে ভয় পায়। খুব সকালে ঠান্ডা এড়াতে তারা কিছুটা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। রাতে শিশির পড়ে। যখন সকালে সূর্য উঁকি দেয়,গাছ ওঘাসের ওপর সেগুলো সোনার মতো জ্বলজ্বল করতে থাকে।শীতের সকালে এক অসাধারণ আকর্ষণ সরষে ফুলের হলুদ মাঠ। সকালের সূর্যালোক যেন তার নিপুণ হাতে প্রতিটি সরষে গাছকে নবরূপে ঢেলে সাজায়। পশু-পাখিরা সূ সূর্যের আলো দেখে আনন্দিত হয়। কৃষকেরা গরু ও লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যায়। তারা হাতে করে হুক্কাও নিয়ে যায়। ছেলেমেয়েরা খড় সংগ্রহ করে আগুন জ্বালিয়ে তাদের দেহ গরম করে। আর হাসি- তামাশায় মেতে থাকে।বৃদ্ধ লোকেরা রোদ পোহায়। কিছু লোক খেজুরের রস বিক্রি করতে বের হয়। অনেকেই ঘরে তৈরি পিঠা ও খেজুরের রস খেতে পছন্দ করে। বেলা বেশি হওয়ার সাথে সাথে শীতের সকালের দৃশ্য ধীরে ধীরে মিলেয়ে যায়। বেলা বেড়ে চলে, কুয়াশা দূরীভূত হয় এবং লোকেরা তাদের নিজ নিজ কাজে চলে যায়।