স্বদেশের উপকারে নাই যার মন, কে বলে মানুষ তারে?
পশু সেই জন
মূলভাবঃস্বদেশপ্রেম মানুষের একটি উন্নত আদর্শ।যার মধ্যে স্বদেশ প্রীতি নেই সে মানুষ হয়েও পশুতুল্য।
সম্প্রসারিত ভাবঃ দেশপ্রেম মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। এটি মানুষের চরম পরম সম্পদ।দেশপ্রেম ছাড়া মানুষের মধ্যে মা মাটি এবং মানুষকে ভালবাসার মতো মহৎ মানবিক চেতনা সৃষ্টি হয় না। তাই মনীষীকুল জন্মভূমিকে মায়ের মতো বলে বর্ণনা করেছেন।মায়ের রক্ত, মাংস,অস্হি, মজ্জা যেমন সন্তানের অণু পরমাণুর সাথে মিশে থাকে তেমনি মিশে থাকে জন্মভূমির আলে, বাতাস,রূপ,রস গন্ধ তাদের আপাদমস্তকে।সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মা (স) দেশপ্রেম সম্পর্কে বলেছেন,এটি ইমানের অর্ধাংশ। স্বদেশের প্রতি গভীর ভালবাসার পরিচয় ফুটে উঠেছে কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস রচিত জন্মভূমি কবিতর প্রতিটি ছত্র- জননীগো জন্মভূমি তোমারি পবন দিতেছে জীবন মোরে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে।যারা দেশকে ভালবাসে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখে, প্রকৃত প্রস্তাবে তারাই মানুষ নামের যোগ্য। জগতের মহামানবগণের প্রত্যেকেই ছিলেন স্বদেশভক্ত ও দেশের উপকারে নিবেদিত প্রাণ। বীর পুরুষেরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।তাঁরা দেশের জন্য অকাতরে নিজের জীবনে উৎসর্গ করে থাকেন। এরূপ ইচ্ছে যে ব্যক্তির নেই, সে মানুষ নামের অযোগ্য। নিজ মাতৃভূমিকে যে ভালবাসে না স্বদেশের জন্য যার কোনো অবদান নেই, মানুষ নামের জীব হয়েও সে বিবক বুদ্ধিহীন পশুতুল্য।সমাজের চোখে সে ঘৃণার পাত্র।
মন্তব্যঃ দেশমাতৃকার কল্যাণে যিনি আত্নোৎসর্গ করেন, তিনিই প্রকৃত মানুষ।পক্ষান্তরে, দেশের ভালোবাসায় যার মন নেই সে পশুতুল্য।
সকল ভাবসম্প্রসারণ তালিকা……
Facebook Group