মাতৃস্নের তুলনা নাই। কিন্তুু অতি স্নেহ অনেক সময় অমঙ্গল বয়ে আনে। যে স্নেহের উত্তাপে সন্তানের পরিপুষ্টি, তাহারই আধিক্যে সে অসহায় হইয়া পড়ে। মাতৃস্নেহের মমতার প্রাবল্যে মানুষ আপনকে হারাইয়া আসল শক্তি মর্যাদা বুঝিতে পারে না। নিয়ত মাতৃস্নেহের অন্তরালে অবস্হান করিয়া আত্মশক্তির সন্ধান সে পায় না দূর্বল, অসহায় পক্ষী শাবকের মতো চিরদিন স্নেহাতিশয্যে আপনাকে সে একান্ত নির্ভরশীল মনে করে। ক্রমে জননীর পরম সম্পদ সন্তান অলস, ভীরু, দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হইয়া মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ হইতে দূরে সরিয়া যায়। অন্ধমাতৃস্নেহ সে কথা বুঝে না দুর্বলের প্রতি সে স্হির লক্ষ্য, অসহায় সন্তানের প্রতি মমতার অন্ত নাই অলসকে সে প্রাণপাত করিয়া সেবা করে ভীরতার দুর্দশা কল্পনা করিয়া বিপদের আক্রমণ হইতে ভীরুকে রক্ষা করিতে ব্যাপ্ত হয়।
সারাংশঃ মাতৃস্নেহের তুলনা হয় না। তবে স্নেহের প্রয়োজন থাকলেও অতিরিক্ত স্নেহ অকল্যাণ বয়ে আনে। স্নেহের আধিক্যে সে পরনির্ভরশীল ওঅসহায় হয়ে পড়ে। অন্ধ মাতৃস্নেহ তা বুঝে না বলে সন্তানের দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেয় এবং তাতে সন্তানের ক্ষতি হয়।